মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহত রাঙামাটির উক্যছাইং-এর সমাধিতে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা

মোঃ সুমন খান রাজস্থলী (রাঙামাটি)

ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রাঙামাটির সন্তান উক্যছাইং মারমা (এরিকশন)-এর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করতে রাঙামাটির রাজস্থলীর বাঙালহালিয়া ইউনিয়নে যান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে উইং কমান্ডার আবদুল্লাহ মো. ফারাবী রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কিউংধং পাড়া গ্রামে শহীদ উক্যছাইং-এর বাড়িতে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি উক্যছাইং-এর পিতা উসাইমং মারমা-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। এরপর তিনি শহীদ উক্যছাইং-এর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মাইলস্টোন স্কুলে সংঘটিত এই দুর্ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যারা আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আজ আমরা এসেছি মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহত রাঙামাটির কৃতি সন্তান ছোট উক্যছাইং-এর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে। শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে আমাদের সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টার দিকে ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্কুল ভবনের শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করছিলেন রাঙামাটির উক্যছাইং মারমা (এরিকশন), যিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। গুরুতর আহত ও দগ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেদিন রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্যছাইং মৃত্যুবরণ করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।