
আহমদ বিলাল খানঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আর্থিক সমস্যায় মেয়েকে ভর্তির অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন জেলা সদরের মানিকছড়ির বাসিন্দা নাছিমা বেগম। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে মেয়ের পড়ালেখার সুন্দর ভবিষ্যতটাই হাতছাড়া হয়ে যাবে। এমন হতাশা নিয়ে সাহায্যের আশায় অফিসপাড়ায় ঘুরছিলেন তিনি। বুধবার (৬ আগষ্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বারান্দায় অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে আছেন নাছিমা বেগম। বিষয়টি নজরে আসে জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাবীব আজমের। তিনি তাঁর অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মা মেয়ের হাতে ভর্তির টাকা তুলে দেন। টাকা পেয়ে যেন মা-মেয়ের জন্য হতাশার কালো মেঘ মুহুর্তেই কেটে গেছে। ভর্তির টাকা পেয়ে মা নাছিমা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে সুমনা অত্যন্ত মেধাবী। কোন প্রকার প্রাইভেট ছাড়াই নিজে নিজে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও কোন ধরনের কোচিং সে করেনি। নিজের মেধায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ভর্তির টাকা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। জেলা পরিষদ সদস্য হাবীব আজম বিষয়টি জেনে সাথে সাথে ভর্তির টাকা দেন। তিনি বলেন, ‘এই টাকা আমার কি পরিমান উপকারে এসেছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি তাঁর জন্য প্রাণভরে দোয়া করি। এছাড়াও আমার মেয়ের পড়ালেখার জন্য ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন।’ অন্যদিকে জেলা শহরের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্যও মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। বিষয়টি হাবীব আজমের নজরে আসলে বুধবার তাঁর অফিসে ডেকে বয়োবৃদ্ধ রোকেয়ার হাতে নগদ দশ হাজার টাকা তুলে দেন। টাকা পেয়ে আবেগে কেঁদে দেন ষাটোর্ধ রোকেয়া বেগম। হাত তুলে দোয়া করেন হাবীব আজমের জন্য। বলেন,‘ আমার অসুস্থতার কথা শুনে প্রায় সময় আমাকে ওষুধ কিনে দেয়, টাকাও দেন হাবীব আজম। আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুক।’ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাবীব আজম জানান, রাঙামাটি এক মেধাবী শিক্ষার্থী সুমনা আকতার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে ভর্তি হতে পারছিল না। বিষয়টি জেনে তাৎক্ষনিক তাকে ভর্তির টাকা দিলাম। ভবিষ্যতেও তাঁর পড়ালেখায় যত রকমের সহযোগিতা করা দরকার, সাধ্যমত করে যাবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, ‘অসহায় ও দুস্থদের জন্যও নিজের সীমিত সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করি। ’