
মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
বায়েজিদ থানাধীন বেসিক শিল্প প্লট এলাকা,চা-বোর্ডর পেছনে সঙ্ঘবদ্ধ চোরচক্রের ফাঁদে অপূরনীয় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি,মূল্যবান মেশিনপত্র,প্রয়োজনীয় কাজের সরঞ্জাম,ব্যবসায়িক জিনিসপত্র,ডুকুমেন্স, পণ্যসামগ্রী চুরি হয় একাধিকবার।একইস্থানে একইব্যক্তি ও একাধিক প্রতিবেশী ব্যবসায়ীরা অপূরনীয় আর্থিক ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার। ভুক্তভোগীরা জানমাল,পুঁজিরুজি,রুটি রোজগার জীবিকার একমাত্র উপায় অবলম্বনে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা হীনতার দাবি।অপরাধীরা বাস্তব পরিস্থিতিতে বারবার অপরাধ অঘটন করেও অপক্ষমতার ছত্রছায়ায় রহৎস্যজনকভাবে আইনশৃঙ্খলার চোখ ফাঁকি দিয়ে অপক্ষমতা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে যায় ধরার ছোয়ার বাইরে।
ঘটনার নেপেথ্যে অপরাধীদের ধরতে প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপে ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্তরা ভবিষ্যতে সাংঘর্ষিক প্রতিকূলতা,ক্ষয়ক্ষতি,নিরাপত্তাহীনতা নেতিবাচক নানা কারণে এসব প্রতিকারের অভিযোগে গোপনে মুখ খুললেও প্রকাশ্যে কেউ সাহস করে না মুখ খুলতে। পরিস্থিতিতে অভিযোগকারী হয় ফাঁক-ফোকর আইনি জটিলতায় উল্টো অভিযুক্ত,হয়রানি, ভোগান্তি স্বীকার।সমাধানে বাস্তবতায় পদেপদে অসহায় নিরাপায় ভুক্তভোগী ও জনসাধারণ।
আজ ৬অক্টোবর,রাতে বায়েজিদ বেসিক শিল্প প্লট এলাকা,চা বোর্ড পেছনের গলি বিজিসি ট্রাস্ট মালিকানাধীন প্লট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফার্নিচার তৈরির মূল্যবান মেশিনপত্র যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সুকৌশলে পূর্ব পরিপরিকল্পিত সুযোগে চোর চক্রের ফাঁদে একাধিক বার স্বীকার হয় মোঃ ওমর ফারুক নামে এক সাধারন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া ফার্ণিচার ব্যবসায়ী।
ঘটনা স্বীকার ভুক্তবোগী ওমর ফারুক বলেন,প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফার্নিচার তৈরির মূল্যবান মেশিনসহ যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সুকৌশলে পূর্ব পরিপরিকল্পিত ছকে সুযোগে এলাকার স্থানীয় চোর চক্রের ফাঁদে পড়েছি একাধিকবার।চোরদের অত্যাচারে আমি নিরুপায় অসহায় সাধারণ সাধারন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মেহনতী সাধারণ মানুষ।অনেক কষ্ট করে কোনরকম দিনপাত করি। আমার মরা আর বাঁচা এক সমান এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অদ্ভুত পরিনীতিতে কোনমতেই স্বাভাবিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।
চুরি হওয়া কারখানায় নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও বেসিক এলাকায় অসংখ্য সিসিটিভি ফুটেজ আশপাশের নিরাপত্তা প্রহরি সকলের চোখে ধুলা দিয়ে ফাঁকি দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত চোরচক্রের যোগসাজেশে পূর্বপরিকল্পিত মাস্টার মাইন্ডে চোরচক্রে কর্মযজ্ঞ সু কৌশলে সুসম্পন্ন করে।
ক্ষতিগ্রস্ত ওমর ফারুক দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এলাকায় অন্যের চাকরি এবং বর্তমানে ব্যবসা করছে। তাঁরাগেইট মোড় সংলগ্ন বর্তমান সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে নতুন পুরাতন ফার্নিচার বিক্রি করে। সহজ সরল অতি সাধারণ কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করে।
নিজেই মালিক নিজেই লেবার কখনো ভেনগাড়ির ড্রাইভার কখনো লাকড়ি বিক্রেতা সহ যাবতীয় পরিশ্রমে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করে। আর্থিক অস্বচ্ছতা কারণে জীবন সংগ্রামে একমাত্র পুত্র ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়লেও কর্মচারী রাখার সামর্থ্য না থাকাতে ছেলেকেই তার কাজে করতে সব সময় দেখা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী পুলিশকে জানালে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী,ঘটনাস্থল রাতের নিরাপত্তা প্রহরী ও সব সময় ডিউটি করে বিজিসি ট্রাস্টের নিজস্ব প্রহরী ইসমাইলের সাথে ও আশপাশের মানুষের কাছে উক্ত ঘটনার সবিস্তারে জানেন।
এসময় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এসআই কমল ধর বলেন,প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ,অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহ ও পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপরাধ যেই করে থাকুক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।উক্ত বিষয়টি ডিউটি অফিসারের সাথে আলোচনা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমার পক্ষ থেকে অপরাধীদের ধরতে সর্বাত্মক সক্রিয় দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চায়।
সব সময় ডিউটিরত বিজিসি ট্রাস্ট এর নিরাপত্তা প্রহরী ইসমাইল বলেন,ঘটনার সাথে জড়িতরা দূরের বাইরের কেউ না।এ এসব চোর চক্রের লোকেরা বারবার একের পর এক লোমহর্ষক কায়দায় এরকম চুরিঅঘটন করে যাচ্ছে। যারা এলাকায় এই সমস্ত চুরিকান্ড ঘটায়। যাদের ঘটনা ঘটেছে এবং এলাকার মানুষ সবই কমবেশি ধারণা আছে। কারা করতে পারে এসব কিন্তু কেউই মুখ খুলবে না। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় জীবন ঝুঁকির কারণে সন্দেহ থাকলেও কেউ অভিযোগও দেবেনা।
ভুক্তভোগী আশেপাশের ব্যবসায়ী অয়াহিদ,জাফর,শিবু সুংহ’সহ আশেপাশের অনেকেই চোরকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে একাধিকবার।ভুক্তভোগীরা বলেন,আমরা এক মগের মুলক এলাকায় বসবাস করছি,এসব চোরকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছি একাধিকবার। লাখ লাখ টাকার ব্যবসায়িক অপূরনীয় ক্ষয়ক্ষতি আর্থিক লোকসান সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীনতা ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় না। যারা এসব করে তারা এলাকার মানুষ বাইরের কেউই না। যারা করছে তারা একই চক্রের লোক।এসবকান্ড কারা করে এবং করায় সবাই কম বেশি জানে মুখ খুললেই বিপদ ও জীবনঝুকি।এসব অপরাধীদের অপক্ষমতা,আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সব সময় থেকে যায় ধরাছোঁয়ার নাগালের বাইরে।
ভুক্তভোগী ওমর ফারুক খুবই অসহায় ও সাধারণ তার এখানে এর আগেও একাধিকবার লাখ লাখ টাকার জিনিস ফার্নিচার সহ অনেক কিছুই নাটকীয় কায়দয় চুরি হয়েছে। আমরাও এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছি অনেকবার। এলাকায় বাঁচতে থাকতে গিয়ে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য অভিযোগ দিলে আরো চরম ক্ষয়ক্ষতির স্বীকারের ভয়ে অভিযোগ দিতে রাজি হননি কেউই।
যারা ঘটনা ঘটিয়েছে কম বেশি সকলেই তাদেরকে চিনে।
তারা অন্যায় অপরাধ অপক্ষমতা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তাদের উপরে অনেক বড় হাত রয়েছে। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এসব অপরাধীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
অভিযোগ দিলে আরো উল্টা অপরাধীদের দ্বারা হেনস্তা ভোগান্তি হয়রানিতে এবং নিরাপত্তাহীনতায় আইনী জটিলতার ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিরুপায় অসহায় পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা চায়।