
রবিউল হোসেন চৌধুরী রিপনঃ
রাঙামাটির বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) অবতরণ কেন্দ্রে রাজস্ব আদায়ের সময় বৃদ্ধি দাবিতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ করে দিয়েছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ফলে বিএফডিসির রাজস্ব আদায়ও বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই বছর ধরে মাছ অবতরণের জন্য নির্ধারিত স্বল্প সময়ের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে মাছের বোট নিয়ে রাঙামাটির বিএফডিসি ঘাটে পৌঁছাতে দেরি হলে রাজস্ব গ্রহণ করা হয় না। এতে মাছের গুণগত মান নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
তাদের দাবি, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা এবং রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র খোলা রেখে রাজস্ব আদায়ের সময় বাড়াতে হবে। নতুন সময়সূচি নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত মাছ আহরণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তম মাছ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শুক্কুর বলেন,বিএফডিসির কমান্ডারের কাছে বারবার আবেদন করলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্ধারিত সময় বাড়ানো না হওয়ায় আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি, তাই মাছ কেনা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।
অন্যদিকে, বিএফডিসি রাঙামাটি মৎস্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম (এনডি) বিএন জানান,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবতরণ কেন্দ্র খোলা থাকে। মাঝপথে কিছু বিরতি দিয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সময় বাড়ানোর বিষয়টি শুধু ইচ্ছার নয়, এর সঙ্গে অনেক প্রশাসনিক দিক জড়িত। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে সময় নির্ধারিত আছে, তাতেই সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় সম্ভব। উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছ বিএফডিসির ঘাটে রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এ খাতের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২৬ হাজার জেলে, ৫০০ ব্যবসায়ী ও ৫ হাজার শ্রমিক, যাদের জীবিকা বর্তমানে অনিশ্চয়তার মুখে।





