
🖋️ মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি
যশোরের নাভারণ সরকারি খাদ্য গুদামের চাল লোপাট ও নিম্নমানের খাদ্যশস্য মজুদের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সূত্র জানায়, নাভারণ খাদ্য গুদামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পাওয়া গেছে। গুদামের বিভিন্ন খামালের মাঝখানে পুরনো লালচে চাল মজুদ রাখা হয়েছে, আর চারপাশে ভালো মানের চাল সাজানো হয়েছে। ৬ নম্বর খামালে নিম্নমানের চালের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে মোহিনী, শাহাজাহান, জননী ও মনোয়ারা অটো রাইস মিল থেকে সরবরাহকৃত চালগুলো নিম্নমানের। অভিযোগ উঠেছে, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এসব চাল গুদামে গ্রহণ করেছেন ওসিএলএসডি (অফিসার ইনচার্জ এলএসডি) জামশেদ ইকবালুর রহমান। দুর্গাপূজার ডিওর (ডেলিভারি অর্ডার) মাল ক্রয়ের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, দুর্গাপূজার কোনো চাল গুদাম থেকে বের হয়নি। বর্তমানে প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন চাল বাইরে থেকে এনে গুদামে ঢোকানোর চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। এছাড়া, প্রায় দেড় হাজার বস্তা চাল ঘাটতি এবং বিপুল পরিমাণ ছেঁড়া ও ব্যবহার অনুপযোগী বস্তা মজুদের অভিযোগও উঠেছে। সূত্র আরও জানায়, বিগত কয়েক মৌসুমে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করেছেন জামশেদ ইকবাল। কৃষকের নামে দেখানো তালিকাগুলোর বেশিরভাগই ভুয়া, বাইরের জেলা থেকে চাল এনে জমা দেওয়া হয়েছে। কাগজে ধান ক্রয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, জামশেদ ইকবাল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ খাদ্য গুদামে বদলির আশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৫ লাখ টাকার অফার দিয়েছেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে শার্শা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





