
চৌধুরী মুহাম্মদ রিপনঃ
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের দেবতাছড়ি মহাজনপাড়া স্বধর্ম জ্যোতি বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব মহা কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় মুখর ছিল দেবতাছড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। শতাধিক ভিক্ষু ও অসংখ্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ দিনব্যাপী উৎসবটি বর্ণাঢ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াপাড়া বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত পূঞাবংশ মহাথেরো। সভাপতিত্ব করেন মহাজনপাড়া স্বধর্ম জ্যোতি বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ক্ষেমিন্ডা মহাথেরো। আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ উঃ পামোক্ষা মহাথেরো, মঙ্গলাচরণ পাঠ করেন সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহার (আবাসিক) সুরেশ ভিক্ষু। প্রধান ধর্ম দেশনা প্রদান করেন ওয়াগ্গা জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত সুমেধানন্দ মহাথেরো এবং বিশেষ স্বধর্ম দেশনা প্রদান করেন ওয়াগ্গা সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারের ক্ষেমানন্দ ভিক্ষু। এই অনুষ্ঠানে সংঘ বরণ করেন সন্তোষ কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। প্রধান দায়ক ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা এবং বিশেষ দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মংহ্লাচিং মারমা। সভাপতির বক্তব্যে দেবতাছড়ি মহাজনপাড়া স্বধর্ম জ্যোতি বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরঞ্জিত তনচংগ্যা বলেন—মহা কঠিন চীবর দান শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আমাদের বৌদ্ধ সমাজের ঐক্য, ভক্তি ও অনুপ্রেরণার প্রতীক। এই আয়োজন সফল করতে যারা সময়, শ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকের এই পুণ্য দিনে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি— জীবনে সৎকর্ম, মৈত্রী ও মানবকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখব। এই চীবর দান যেন সকল জীবের শান্তি ও মঙ্গলের বার্তা বয়ে আনে। তিনি আরোও বলেন, আমি আয়োজক কমিটি, দায়িক দায়িকা, পূর্ণার্থীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই এবং কামনা করি— ভবিষ্যতেও এই ধরনের ধর্মীয় আয়োজন শান্তি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিক।





