
মোঃ আবদুল হক, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
শনিবার (১২ রবিউল আউয়াল): আজ মহিমান্বিত ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করছেন। দিবসটি উপলক্ষে আজ বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মুসলিম উম্মাহ বিশ্বাস করে, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ লালন ও অনুসরণের মধ্য দিয়েই দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি ও কল্যাণ সম্ভব। তাই দিনটি কেবল ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ ও শান্তির প্রতীক। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বিএনপি বলেছে, সমাজে অবহেলিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, সহনশীলতা, দয়া-ক্ষমা, শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অতুলনীয়। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ আদর্শ অনুসরণ ছাড়া মানবজাতির কল্যাণ সম্ভব নয়। খণ্ডিতভাবে অনুসরণ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না। মুসলিম উম্মাহর প্রত্যাশা—পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সবার জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ঐক্যের বার্তা বয়ে আনুক।