কামরুজ্জামান, লংগদু প্রতিনিধিঃ
আজ১৬ জুলাই রোজ বুধবার ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। শহীদদের মাগফিরাতের জন্য দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিনটি স্মরণে এ দিবস ঘোষণা করা হয়।
সারা দেশের ন্যায় রাংঙ্গামাটির, লংগদু উপজেলাতেও জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে ” জুলাই শহীদ দিবস ” পালিত হয়েছে। ১৬ জুলাই বুধবার সকালে লংগদু উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে লংগদু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন, সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ কফিল উদ্দিন মাহমুদ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ, লংগদু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ নাছির উদ্দীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তি যোদ্ধা খোরশেদ আলম, উপজেলা প্রেসক্লাবে প্রধান উপদেষ্টা, প্রবীণ সাংবাদিক মোঃ এখলাস মিয়া খান,
৬ষ্ঠ এপিবিএন, ৩৭ বিজিবি রাজনগর জোন, ৩৮ আনসার ব্যাটালিয়ন সহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জুলাই বিপ্লবের আহত ও অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন আলোচনায় বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই আন্দোলনে নারী-পুরুষের সম্মিলিত আন্দোলনে শহীদদের রক্তে রাঙানো রাজপথ, স্কুলপড়ুয়া শিশুদের বুকের তাজা রক্তে ও ছাত্র-জনতার সাহসী স্লোগানে মুখরিত হয়ে এক নতুন সূর্যের প্রত্যাশা নিয়ে অজানা গন্তব্যের পথে ধাবিত হয়েছিলেন । তাদের আত্মত্যাগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এসময়ে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের একশ্রেণির ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্নীতি ও চাঁদাবাজি সম্পর্কে উদ্যেগ প্রকাশ করা হয়। সন্ত্রাসী ও দূর্নীতি ও চাঁদাবাজ যে দলেরই হউক, তাদের কঠোর হস্তে দমনের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য দূরীকরণ, জুলাই বিপ্লবের স্প্রীডকে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা মানুষ। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি অংকন করা হয়।
