প্রধানমন্ত্রীর ঐক্যের ডাককে বৃদ্ধাঙ্গুলি। সোনারগাঁ আ’লীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক

 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য অনুমোদনকৃত কমিটির ১নং সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগের কিছু বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,গতকাল সন্ধায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি আমাদের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল মানবতার মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন সকল বিবেধ ভূলে জেলা উপজেলার সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করতে হবে।এর আগেও গত ৬ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন।কিন্তু আমাদের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির নেতাদের পাশকাটিয়ে বা কোন নিমন্ত্রণ না জানিয়ে আগের প্রস্তাবিত কমিটির তাদের পছন্দের এবং বিতর্কিত লোকদের নিয়ে বর্ধিত সভা এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।এমনকি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের খুনিদের জান্নাত বাসী করার দোয়া ও মোনাজাত করা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করা বারদী আসতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে তার অনুমতি নিতে হবে এমন অসম্মানের বক্তব্য দেয়া সেই বিতর্কিত বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলকে আবারও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।লায়ন বাবুলের বিরুদ্ধে এখনো সেই মামলা চলমান রয়েছে।অথচ কোন ঈশারায় আবারও সেই বিতর্কিত লায়ন বাবুলকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন।

এতে করে সোনারগাঁওয়ে তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে আঃ হাই ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবু হাসনাত শহীদ বাদল ভাইকে পুনরায় জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব দিয়েছেন সেখানে কোন ইঙ্গিতে কার ঈশারায় কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জেলার অনুমোদিত কমিটিকে অসম্মান করছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক?

আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজপথে থেকে শত শত হামলা মামলার শিকার হয়ে কোন কিছু পাওয়ার আসায় রাজনীতি করেনি।বর্তমান এই কঠিন সময়ে যেখানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামাত বিএনপির নৈরাজ্য বন্ধে মাঠে থাকতে হবে সেখানে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের মাঝে বিবেধ সৃষ্টি করার জন্য পৃথক পৃথক বলয় তৈরী করার জন্য আওয়ামীলীগকে দূর্বল করে জাতীয় পার্টি ও বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য পায়তারা করছে।

আওয়ামীলীগের কর্মসূচীতে অনুমোদন কৃত কমিটির সদস্যদের না রেখে বা না ডেকে তাদের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে কোন একজনকে খুশি করার জন্য নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।

যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকার প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্পট হলো ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা।এই উপজেলায় যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।অথচ বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলীয় কোন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় না থেকে যার যার বলয় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূইয়া রাজনীতির মাঠের সম্পূর্ণ বাহিরে থাকা তার ছেলে মারুফুল ইসলাম ঝলককে সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সদস্য করে সিনিয়র নেতাদের সাথে না রেখে তার ছেলেকে সামনের কাতারে রেখে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন।অন্য দিকে সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত ও রাজনীতির বাহিরে থাকা তার ভাই সানজিদকে প্রথম কাতারে রেখে সিনিয়র নেতাদের সামনে না রেখে তাকে নিয়ে নিজ বলয় তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার লক্ষে তারা কাজ না করে নিজেদের বলয়কে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে।এভাবে চলতে থাকলে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে।এখানে তাদের এমন কর্মকান্ডের সুযোগ নিয়ে এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির এমপি ক্ষমতায় এসে সরকারের বিরুদ্ধে থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন্দল সৃষ্টি করে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার কাজ করছে।তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাতকে আহবান জানাবো,আপনারা সকল বিবেধ ভূলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক আসুন আমরা তৃনমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করি।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষে রাজপথে থেকে কাজ করি।