আজ থেকে য়শোরে শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

 

যশোর ব্যুরোঃ

আজ রোববার ৯ নভেম্বর থেকে যশোরে শুরু হতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে জেলার ৮টি উপজেলা থেকে ৮টি দল অংশ গ্রহণ করবে। প্রথম রাউন্ডের খেলা নক আউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী ম্যাচে যশোর সদর উপজেলার মুখোমুখি হবে শার্শা উপজেলা টিম। খেলার উদ্বোধন করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার(ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজ শাহ্। আগামী ২০ নভেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সফল ভাবে টুর্নামেন্টের খেলা শেষ করতে ইতিমধ্যেই সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। শনিবার ৮ নভেম্বর যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজন সরকার, পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন,টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মাহতাব নাসির পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। যশোরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ন্মেন্টকে ঘিরে গোটা জেলায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। রাস্তায় রাস্তায় শোভা পাচ্ছে তোরন আর বিল বোর্ড। চলছে মাইকিং আর মাঠে সাজসজ্জার কাজ। বিভিন্ন পর্যায়ের খেলোয়াড় আর সংগঠকদের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুন। প্রাকটিস ম্যাচ নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী দল গুলোতে চলছে রাতদিনের ব্যস্ততা। এদিকে ১ ভরি স্বর্ণ খচিত গোল্ডকাপটির আদলে তৈরী করা হয়েছে একটি রেপ্লিকা ট্রফি। টুর্নামেন্টর বিজয়ী দলকে পুরস্কার হিসেবে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপটি হ্যান্ডওভারের পর নগদ অর্থ মুল্য বাবদ ২ লাখ টাকা ও এই রেপ্লিকা ট্রফিটি প্রদান করা হবে। আর মুল ট্রফিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যশোর কালেক্টরেটে সংরক্ষিত থাকবে।
এখন থেকে প্রতি বছর এই টুর্নামেন্টের আয়োজন তরা হবে বলে টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। কিনি বলেন খেলাধুলা একটি জাতিকে শৃঙ্খলা শেখায়, দেশ প্রেম শেখায়, মনুষত্ববোধকে জাগ্রত করে। খেলা ধুলা যত বেশি হবে সামাজিক অবক্ষয় ততো রোধ হবে। যুব সমাজ সংগঠিত থাকবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা বোধ তৈরী হবে। গত ১৬ বছর দেশের যুব সমাজকে বিপথগামী করতে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় সব খেলাধুলাকে ধ্বংস করা হয়েছে। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর আজ নতুন করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সাজানো হচ্ছে। খেলাধুলাাে মাঠে ফেরানোর মাধ্যমে যুব সমাজকে মাঠমুখি করা হচ্ছে। তারুণ্যের উৎসব পারনের মাধ্যমে আমরা দেশের তরুণ সমাজকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কারন তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ।