
রবিউল হোসেন রিপনঃ
ফুল ফুটেছে, পাখি গাইছে, ঋতুরাজ বসন্তকে বরণে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ রূপময়। আর সেই সাথে
খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা লাগে বসন্তের রঙ।
খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা আয়োজিত ‘বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব-২৫’ আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকাল হাসপাতাল হলরুমে এ ফাল্গুনের প্রথম বার শিক্ষকমন্ডলী, স্টাফ, পরিবার ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দর অংশ গ্রহনের মাধ্যমে বসন্ত বরণ-পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্টলে বাহারী পিঠা আর মুখরোচক খাবার এর দেখা মেলে। এই পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান
খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং, হাসপাতালের কম্প্রেহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগামের প্রোগাম ম্যানেজার বিজয় মারমা, ডাঃ বিলিয়ম সহ সাংবাদিক গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বিভিন্ন স্টলের মুখরোচক পিঠা খেয়ে মান পরীক্ষা করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেন খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা কর্তৃপক্ষ।
মুখরোচক খাবারের জন্য প্রথম স্হান অধিকার করেন, খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা ডাক্তারদের স্টল ইষ্টিকুটুম, ,দ্বিতীয় স্হান অধিকার করেন, স্টল রঙ্গিলা,বসন্তের স্বাদ ‘কে তৃতীয় স্হান নির্বাচিত করা হয়। বাকী ৯টি স্টলকে সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। এই বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবে ১২ টি স্টলে বাহারী পিঠা আর মুখরোচক খাবার খাওয়ার জন্য উৎসুক সবাই বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে দেখা যায়। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বসন্ত বরণ-পিঠা উৎসবে বলেন, পিঠা উৎসব আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে। আমাদের বিভিন্ন উৎসবে এসব পিঠা পুলির আয়োজন করা হয়। আর এই উৎসবের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য জাগ্রত হবে। এই সুন্দর আয়োজনে র জন্য খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা কে ধন্যবাদ জানাই এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের মননশীল বিকাশ ঘটায়। তিনি আরোও বলেন আগামীতে এই খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা আয়োজন করবেন আশাকরছি। খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল চন্দ্রঘোনা পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং, হাসপাতালের কম্প্রেহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগামের প্রোগাম ম্যানেজার বিজয় মারমা আমাদের প্রতিনিধি জানান, আমরা সত্যি আনন্দিত এবং এত সুন্দর অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সমাপ্তি করতে পেরে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনুষ্ঠান শেষের দিকে
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি বসন্তের বিভিন্ন গান, কবিতা, গল্প ও নাচের মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ‘বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব -১৪২৫’ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।