
রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
জনগোষ্ঠির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা বেকারত্ব দূর, যুব ও ছাত্র সমাজের উন্নয়নের জন্য অধীর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। এই সকল কর্মসূচিতে ইচ্ছা করলে জেলা পরিষদের কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। আমি দায়িত্বে আসার পর সেই কাজ শুরু করার প্রচেষ্টা করেছি। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাবাসীর সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি যেসকল কর্মসূচিগুলো শুরু করেছিলাম সে সকল কর্মসূচিগুলো চলমান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক রাস্তা, ব্রীজ, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, নারী উন্নয়নসহ পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পরিশেষে, আমার দায়িত্ব পালনকালীন আমার পরিষদের সকল সদস্য, পরিষদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন্, সেনাবাহিনী, লাইন ডিপার্টমেন্টের সকল বিভাগ/দপ্তর প্রধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, সাংবাদিক, আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দসহ জননেতা দীপংকর তালুকদারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দায়িত্ব পালনকালীন সকল সফলতা রাঙ্গামাটি পার্বত্যবাসীর। সকল ব্যর্থতা নিজ কাঁধে নিয়ে বিশেষ কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করছি।
সকলে ভালো থাকবেন, আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো- এই আমার প্রত্যাশা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার আগে সদস্য হিসেবেও দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি এই নেতা। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ কুশলী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা অংসুই প্রু চৌধুরী জেলার রাজনীতিতেও ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিলো,দীপংকর উত্তর রাজনীতিতে ভূমিকা রাখবেন তিনিই। কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত বাস্তবতায় তার ভূমিকা কি হবে তা স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যেই তার নিজের এলাকা কাউখালীতে ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগের দুই নেতাকে হত্যা করার ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে ভালো নেই তিনি।