
মোঃ জমির আলী হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
নানা সমস্যায় জর্জরিত হবিগঞ্জ জেলা সদরের,২৫০ শয্যায় হাসপাতালের রূপান্তর হলেও চিকিৎসার মান বাড়েনি। ডাক্তাররা থাকেন প্রায় সময়ই গল্পগুজবে ব্যস্ত, আর ইন্টার্নীরাই হচ্ছে চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা। তাদের ভুল ওষুধ লিখার কারণে অনেক রোগী সুস্থ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ ওষুধ খেয়ে সাইড এফেক্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময় থাকেন না। আর এই না থাকার সময়টায় দায়িত্ব পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এমতাবস্থায় গ্রামগঞ্জ থেকে আসা রোগীরা পরেন চরম ভোগান্তিতে। কাউকে না পেয়ে ইমার্জেন্সিতে গিয়ে ইন্টার্নীর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এমন অভিযোগ শত শত রোগীর। সচেতন মহল মনে করছেন ২৫০ শয্যায় রূপান্তর হলেও ওই হাসপাতালে চিকিৎসার মান খুবই নাজুক।
গতকাল রবিবার রাত ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডাক্তারের চেয়ার খালি, তার অবর্তমানে ইন্টার্নীরাই রোগীদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। সদর হাসপাতালের এক ডাক্তার জানান, ইন্টার্নীরা শুধু পেশার মাপতে পারবেন। এ ছাড়া ডাক্তারের নির্দেশে প্রেসক্রিপশন লিখতে পারেন। তবে চিকিৎসকের অবর্তমানে প্রেসক্রিপশন লিখলে ভুল হবেই। এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুমিন চৌধুরী জানান, বিষয়টি দেখে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।