
চৌধুরী মুহাম্মদ রিপনঃ
চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সাম্পান দিয়ে পারাপারের জন্য স্থায়ী সিঁড়ি না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন শত শত যাত্রী। কাপ্তাই–রাঙ্গুনিয়া–রাজস্থলী রুটে চলাচলকারী সাধারণ মানুষদের জন্য এটি এখন এক বড় ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শত শত যাত্রী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা সাম্পান ও ছোট নৌকা ব্যবহার করে কর্ণফুলী নদী পার হন। কিন্তু ঘাটে উঠানামার জন্য কোনো স্থায়ী সিঁড়ি বা পাটাতন না থাকায় যাত্রীদের নদীর ঢেউ ও স্রোতের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই উঠতে-নামতে হয়। একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যেতে এই ঘাট দিয়ে পার হতে হয়। কিন্তু সামান্য অসাবধান হলেই পানিতে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আরেক সাম্পান চালক জানান, বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে গেলে ঘাটের জায়গা ডুবে যায়। তখন নৌকা থামানোই কঠিন হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরজুড়েই এই ঘাট ব্যবহার করা হলেও কোনো উন্নয়ন দেখা যায় না। তারা বলেন, এলাকাবাসী বহুবার প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সিঁড়ি নির্মাণের দাবি জানিয়েছে, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। রাইখালী ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে যদি একটি ভালো সিঁড়ি বানানো হয়, তাহলে আমরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারব। ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এটি খুবই দরকার।
বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও নারী যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। নদীর পানি বেড়ে গেলে বা সন্ধ্যার পর আলো কমে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ে বলে জানান স্থানীয়রা। নদীপথে যাতায়াত করা যাত্রী ও চালকদের দাবি —চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে দ্রুত স্থায়ী সিঁড়ি নির্মাণ করা হোক। বর্ষাকালে সাম্পান ও যাত্রীদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। স্থায়ীভাবে একটি পাকা ঘাট খুবই জরুরী। সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও কার্যত সেতু নির্মাণের কোন রকম কিছুই দৃশ্যমান না। স্থানীয়রা মনে করছেন, সময়মতো সিঁড়ি না নির্মাণ করলে এখানে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করেছেন।





