
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ (২১ নভেম্বর ২০২৩) মহান সশস্ত্র বাহিনী দিবস যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রামণ সূচিত হয়। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ-বাংলাদেশ। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদার সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রামু সেনানিবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ২০১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ মাসুদুর রহমান, এনডিসি, পিএসসি।
এরপর প্রধান অতিথি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর স্বাগত ভাষণের শুরুতেই স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহিদদের ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। বিশেষ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কক্সবাজার অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি জানান বিনম্র শ্রদ্ধা। এছাড়াও তিনি আগত সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটি মহিমান্বিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এরপর প্রধান অতিথি তার ভাষণে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গী দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্ত র্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি আরো বলেন যে, আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্রবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।।