বন্যার পলি মাটিতে তলিয়ে শত একর ধানের জমি

 

শাহাদাৎ হোসেন সোহাগ খাগড়াছড়ি, দীঘিনালাঃ

দীঘিনালা য় প্রায় শত শত একর কৃষি জমিতে প্রতি বছর চাষ হচ্ছে কয়েক হাজার টন ধান, ও অন্যান্য কৃষি ফসল উৎপাদন। সাধারণ কৃষক রা’ এই কৃষি ফসল উৎপাদন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে, তবে এই কৃষি ফসল উৎপাদন করার একমাত্র লক্ষ কৃষকদের আহার যোগানোর জন্যে।
প্রতিবছর একবার বন্যাতে তলিয়ে যায় এসব কৃষি জমি আর নষ্ট হয়ে থাকে বিভিন্ন কৃষি ফসল উৎপাদন। কিন্তু এ বছর প্রায় অন্য বছরের তুলনায় দিগুন ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক রা’ পলি মাটিতে তলিয়ে যায় এসব কৃষি ফসল জমি। দীঘিনালায় শত কৃষক বলছেন পলি মাটির কথা বলেছে নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষি ফসল ও আমন ধান ক্ষতি হচ্ছে মানুষের আহারের অংশ। মেরুং ইউনিয়ন এর কৃষক আবদুল মোতালেব (৫৬) একজন কৃষক তিনি বললেন তার প্রায় ৫ একর কৃষি ধানের জমি পলি মাটিতে তলিয়ে যায় এবং ধানের শীষ গুলো অযোগ্য হয়ে গেছে। ধানের জমি এভাবে পলিতে তলিয়ে গেলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে আর আমরা এই ধানের পর্যাপ্ত মূল্য পাইনা। কৃষক মো:নবী হোসেন (৩৫) একজন ধানের জমি চাষ করেছেন এবারের বন্যায় তার ৬ একর কৃষি জমি পানিতে ডুবে যায় অতঃপর পানি শুকালে দেখা যায় প্রায় ৫ একর কৃষি ধানের জমি পলি মাটিতে তলিয়ে আছে এবং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা কৃষকের কাছে তার কৃষি ফসল উৎপাদনের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন’ আমরা কৃষক এই কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন করেই আহার যোগাই কিন্তু এই পলি মাটিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা পুরোটাই ক্ষতির মুখে পড়েছি আমাদের আর কিছুই করার নেই যদি আমাদের ক্ষতি গুলো উপজেলা কৃষি অফিস একটু বিবেচনায় মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন। আমরা এই বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি দীঘিনালা উপজেলায়, আউস ক্ষতিগ্রস্ত 26,000/- টাকা প্রতি মেট্রিকটন,মোট ১০,৯৮, ২৪০/- টাকা, আমন, ২৬,০০০/- প্রতি মে:টনে, ৬৮,৯৯,৩৬০/- টাকা, গ্রীষ্ম সব্জী, ৩০,০০০/- প্রতি মে:টন, ১,৮৩,৫৪,৩০০/-টাকা।
এই বিষয়ে আমরা দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা সরেজমিনে মেরং, বোয়ালখালী এবং কবাখালী সরেজমিন পরিদর্শন করে জেলার ডিসি স‍্যারের নিকট ক্ষতির রিপোর্ট দিয়েছি। গতকাল জেলা পরিষদে মিটিং হয়েছে প্রণোদনার ব‍্যাপারে। আমণ এবং সবজীর বীজ প্রণোদনা দেয়ার জন‍্য চেষ্টা করা হচ্ছে।