
মোঃ আবদুল হক বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান ঢাকাঃ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে লেছড়াগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ইছামতী নদীর উপর নির্মিত বেইলি সেতুর পাটাতনে ধসে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল যানবাহন ও যাত্রীদের।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হয়ে মানিকগঞ্জ- ঝিটকা- হরিরামপুর আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা দুর্ঘটনার শঙ্কায় আছেন।
লেছড়াগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সুশান্ত সাহা বলেন, “বেইলি ব্রিজের মাঝে স্টিলের তিনটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে আছে। সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের সময় পাটাতন দেবে যাচ্ছে। বিকট শব্দ হচ্ছে। নড়বড়ে পাটাতনের মধ্যে তিনটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইজিবাইক, ট্রাক, পিকআপ, সিমেন্ট বোঝাই যানবাহন, মাহিন্দ্র, বালু ও ইট বোঝাই কাকড়া গাড়ি, নসিমন, করিমন সেতুতে উঠলেই যানবাহনসহ পাটাতনটি এক পাশে কাত হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
এতে পাটাতনটি ধসে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানান তিনি। তবে এর পাশেই একটি নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রয়েছে ।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বেইলি ব্রিজটি ২৫-২৬ বছর আগে নির্মিত। তবে কয়েক মাস ধরে সেতুর মাঝে কয়েকটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। ৫-৬ মাস আগেও একবার একটি পাটাতন মেরামত করেছিল সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গ এর সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, “সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সামান্য ছোট যানবাহন উঠলেও সেতুর পাটাতন কাত হয়ে যায়।” যেকোন সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
ইজিবাইক চালক অসিম মিয়া বলেন, “প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ইজিবাইক চলাচল করে। এছাড়া ছোট বড় ট্রাক, কাকড়া গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। ঈদের সময় চাপও বেড়েছে। পাটাতন দেবে যাচ্ছে। ছোট যানবাহন উঠলেও কাত হয়ে যাচ্ছে, যাত্রী ভয় পায়”।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহরিয়ার আলমকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
পরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, “বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানলাম। সেতুটির পাটাতন মেরামতে আমাদের স্টাফ পরিদর্শন শেষে মেরামত করবেন। পাশের সেতুর কাজ বন্ধের বিষয়ে বলেন, সেতুর কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে”।