মইন আল হোসেইন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রাম এলাকা ও পাড়া মহল্লায় মশার উপদ্রব অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে সাধারণ মানুষ ডেঙ্গু
আতঙ্কে ভুগছেন। কর্তৃপক্ষের মশক নিধন কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও মশার উপদ্রব কমছেনা। দিনরাত মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হওয়ায় শিশুদের নিয়ে আরো বেশি আতঙ্ক কাজ করছে পরিবারের মাঝে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ঘরে সব সময় মশার কয়েল ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই জরুরী ভাবে কর্তৃপক্ষের উচিত সব ধরনের মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। মশার প্রজননস্থল খাল ও নর্দমা এসব পরিষ্কার করা বা সেখানে ঔষধ ছিটানো। সঠিক ভাবে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে মশার প্রজনন বেড়ে যাওয়াকে দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, সোনারগাঁও পৌরসভা, কাঁচপুর, সাদিপুর, জামপুর, নোয়াগাঁও, বৈদ্দেরবাজার, পিরোজপুর, সনমান্দী, বারদী, মোগরাপাড়া ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সর্বত্রই এখন মশার মাত্রাতিরিক্ত উপদ্রব। মশার প্রজনন স্থলগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে এসব মশার উপদ্রব কমিয়ে আনা সম্ভব। এডিস মশার ব্যাপক বিস্তারের কারণে দেশবাসী সহ সোনারগাঁওবাসীও আতঙ্কিত। মশক নিধনে প্রত্যেক গ্রাম এলাকার সব ওয়ার্ডে তেমন কোন তৎপরতা নেই কর্তৃপক্ষের। মশার ওষুধ ছিটানোর ব্যাপারে সব এলাকায় সমান দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। যেহেতু মশা নানা রোগের ভাইরাস ছড়ায়, সেহেতু মশার কামড় থেকে সুরক্ষাই সেসব রোগ থেকে দূরে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে এটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
সোনারগাঁও পৌরসভার কন্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর সেলিম আহমদ জানান পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে মশা নিধনের জীবাণু নাশক ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। এভাবে প্রত্যকটি ইউনিয়নে ঔষধ ছিটিয়ে মশক নিধন করা প্রয়োজন। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন, উপজেলা থেকে উপদেশ দিয়েছেন ছাঁদ, বাড়ির আঙ্গিনা ও উঠানে জমে থাকা পানি সব সময় পরিস্কার রাখতে এলাকার মসজিদের মাইকে বলে সবাইকে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মশক নিধনে ঔষধের ব্যবস্থা করলে আরো ভালো হতো। এলাকাবাসী জানান, সোনারগাঁওয়ে বিভিন্ন মিল কারখানার বজ্র মিশ্রিত ও কালোপানি মশা উপদ্রবের কারন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে'র (আর, এম,ও) আবাসিক চিকিৎসক মোঃ মোশাররফ হোসেন সিজান বলেন, চলতি মাসে সোনারগাঁয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৫ জন আমাদের কাছে সেবা নিতে এসেছে, কিছু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে, এখনো কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সোনারগাঁও পৌরসভা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) মোঃ রেজওয়ানউল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, ডেঙ্গু থেকে বাচতে হলে বাসাবাড়ি সহ আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে এলাকায় নিয়মিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঔষধ ছিটানো হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদকঃ মোঃশামছুল আলম, প্রকাশকঃ রবিউল হোসেন রিপন, ০১৬৩৯২২৫২০৫, সম্পাদকঃ পম্পি বড়ুয়া
Copyright © 2025 দৈনিক রাঙামাটি সময়. All rights reserved.